মধ্যপ্রাচ্য থেকে উদ্বেগজনক হারে ফেরত আসছেন শ্রমিকরা। বিশেষ করে সৌদি আরব থেকে ফেরার প্রবণতা খুবই বেশি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় বলছে, অদক্ষ শ্রমিকদের নিয়েই চ্যালেঞ্জ। তাই দক্ষ কর্মী তৈরির বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, শ্রমিক নিরাপত্তায় পুরো অভিবাসন প্রক্রিয়া করতে হবে ডিজিটাল।
সংকটে পড়েছেন সৌদি শ্রমবাজারে বাংলাদেশিরা। দেশটিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কর্মীদের সঙ্গে করা চুক্তি মানা হচ্ছে না। এতে কাজ না পাওয়াসহ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
সরকারি হিসাবে এ বছর সৌদি আরবে গেছেন প্রায় পাঁচ লাখ কর্মী। তাঁদের মধ্য থেকে ফেরত এসেছে প্রায় অর্ধেক। অভিবাসন গবেষণা সংস্থা রামরুর হিসাবে, প্রতি মাসে ১৪ শতাংশ কর্মী দেশে ফেরত আসছেন।
সৌদির নতুন আইন অনুযায়ী, অভিবাসীদের মাত্র তিন মাসের রেসিডেন্ট পারমিট বা ইকামা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও ভিসা চুক্তি মোতাবেক কাজ পাচ্ছেন না তাঁরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপান-কোরিয়ার মতো মধ্যপ্রাচ্যেও দক্ষ কর্মীর বাজার তৈরি করতে হবে। সবার জন্য একটি সাধারণ সিলেবাস তৈরি করতে হবে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা জানান, আইটিবেজড একটি কম্প্রিহেন্সিভ সিস্টেম চালু করতে হবে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তথ্য সরবরাহে ইমপ্রুভমেন্ট আনতে হবে। সেই সঙ্গে ওই পক্ষের বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। তারা যে ভিসা ইস্যু করছে সেটা যেন দেখা যায়, সে বিষয়টাও নিশ্চিত করতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘এই মুহূর্তে অদক্ষ কর্মী না পাঠানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জিং হবে। তাই কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।’
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দক্ষ কর্মীর তথ্যভান্ডার তৈরি করছে। সে অনুযায়ী অদক্ষদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।
পাঠকের মতামত